বাংলায় ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার সময় কনভয়ের হামলার ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তার রাজ্য। আর এরই মধ্যে বাংলা থেকে ফির্তেই দুঃসংবাদ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপিনাড্ডার জন্য। করোনায় আক্রান্ত হলেন তিনি। এদিন নিজেই তার টুইটার হ্যান্ডেল সেই খবর জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
তিনি লিখেছেন, 'করুনার প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আমি টেস্ট করিয়ে ছিলাম। সেই রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে। তবে আমার শরীর ঠিক আছে। ডাক্তারের পরামর্শমতো হোম কোয়ারেন্টাইন এ সমস্ত নির্দেশ মেনে চলছি। আমার অনুরোধ, বিগত কিছুদিন এর মধ্যে যারা যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন,তারা সকলেই দয়াকরে আইসোলেশনে থাকুন এবং আপনাদের টেস্ট করিয়ে নিন।'
এর আগে লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ,অমিত শাহ সহ বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু করোনা কে জয় করে, স্বাভাবিক কাজে সবাই ফিরেছেন। তবে নতুন করে নাটোর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর বঙ্গ বিজেপি তে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।কারণ সবে মাত্র দুদিনের বাংলা সফর করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।দুদিনের বঙ্গ বিজেপি প্রায় সব শীর্ষ নেতারাও সংস্পর্শে এসেছেন তার। যার ফলে নিয়ম মোতাবেক তাদের সকলকেই কোরান্টাইনের থাকতে হবে এখন। তবে বাকি যেসব নেতারা নাডা সংস্পর্শে এসেছেন সবাইকে Covid টেস্ট করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ 24 পরগনা ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরে লাইট হাউসের মাঠে নাড্ডার দলীয় বৈঠক ধীরে সেদিন সকাল থেকে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। বেলা বাড়তেই কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিকে দিকে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডায়মন্ড হারবারের শহর, সরিষা হাট, উস্থির ও কুলপি হটুগঞ্জ এর মত এলাকা। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের চাপে বেসামাল হয়ে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ১১৭ জাতীয় সড়ক। দুপুর ১২:০০ নাগাদ শিরাকোল মরে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে নাড্ডার কনভয়। কোন ভয়ের গাড়ি আটকে চলে ভাঙচুর, বিপুল মার খায় বিজেপি বাইক বাহিনি। ভাঙা হয় সাংবাদিকের গাড়ি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাড্ডার গাড়ি বুলেটপ্রুফ থাকায় আকান্তকারিদের হাত থেকে রেহাই পান। ইটের আঘাতে আহত হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় কৈলাশ বিজয় বর্গী সহ একাধিক বিজেপি কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই পুলিশ উত্তেজিত জনতার উপর লাঠিচার্জ করে কোন ভাবে পার করে দেয়।
এ নিয়ে রাজ্যের তরফ থেকে রাজ্য বিজেপি রাজ্যপাল কে চিঠি লিখেছেন। এমনকি তারা মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক অবস্থা প্রচুর খারাপ হওয়ার কারণে এখানে জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে সাজানো ঘটনা অথবা বিজেপির পরিকল্পিত আক্রমণ বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তার প্রশাসনিক অক্ষমতাকে।
আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন